পটুয়াখালীতে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ

পটুয়াখালীতে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে  অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ

রেজাউল ইসলাম, পটুয়াখালী:
পটুয়াখালী সদর উপজেলার পায়রাকুঞ্জ গিলাবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মোসাঃ এলিজা বেগমের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করে তার অপসারন চেয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক এবং শতাধিক এলাকাবাসী লিখিতভাবে শিক্ষা মন্ত্রনালয়, জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি দপ্তরে অভিযোগ করেছেন।  
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালে প্রধান শিক্ষিকা উক্ত বিদ্যালয়ে  যোগদানের পর থেকেই  নানা অনিয়ম-দূর্নীতিতে জড়িয়ে পরেন। নিয়মিত স্কুলে না আসলেও হাজিরা খাতায় তার স্বাক্ষর বিদ্যমান থাকে।   তার এ কর্মকান্ডে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা আপত্তি জানালে তাদের সাথে অশালীণ আচারণ করেন প্রধান শিক্ষিকা।  এছাড়াও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভর্তি ফি, সমাপনি পরীক্ষার সনদ বাবদ অর্থ নেয়া, পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায় এবং জন্ম নিবন্ধন প্রত্যয়ন প্রদানে অর্থ নিয়ে থাকেন।  তার এই অনিয়ম নিয়ে অভিভাবকদের সাথে  প্রায়ই বাকবিতন্ডা হয়ে থাকে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।  
এছাড়াও বিদ্যালয়ের পুরাতন বই, আসবাবপত্র বিক্রি করে সেই অর্থ নিজেই আত্মসাৎ করেন।  বিদ্যালেয় বার্ষিক বরাদ্ধ স্লিপের অর্থ যথাযথভাবে খরচ না করে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে সমুদয় অর্থ নিজেই আত্মসাৎ করে।  এমনকি বিদ্যালয়ের পানির টাংকি, সৌর প্যানেলসহ প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় মালামাল নিজের বাসায় ব্যবহার করে আসছেন।  স্কুলের পরিচালনা কমিটিতে তার হস্তক্ষেপ থাকায় পাঠদান কর্মসুচী ব্যাহত হচ্ছে।  পরিচালক পর্ষদ নির্বাচনে অন্য প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষিকাকে প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ করে তার কাছে তথ্য না দিয়ে অভিযুক্তের কাছে গোপন রাখা হয়েছে।  পরিচালনা কমিটি নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রত্যাশীরা তথ্য চাইলে তা নিয়ে টালবাহানা করেন তিনি।  ইতিপূর্বে পরিচালনা পর্ষদে কমিটি গঠনে চারজন অভিভাবক সদস্য নিয়োগ দেয়া হলেও সভাপতি নির্বাচনের সময় পুরোন রেকর্ড পরিবর্তন করলে এ নিয়ে দ্বন্দের সৃষ্টি হয়।  এর আগে তিনি দুমকী উপজেলার দক্ষিণ পাঙ্গাশিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় ছাত্রীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে।  তদন্তে এর সত্যতা প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয় উপজেলা শিক্ষা অফিস।   
এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষিকা এলিজা বেগম জানান, আমি স্কুলের যা কিছু ব্যবহার করছি সঠিক পক্রিয়ায়।  তবে  তার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।  উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান জানান, উভয় পক্ষ থেকে পৃথক দুইটি অভিযোগ পেয়েছি, তার তদন্ত চলছে।